আমাদের আশেপাশের পাখি দিন দিন কমে যাওয়ার জন্য কৃত্তিম বাতির প্রভাব
আমাদের চারপাশে পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর জন্য
অনেকগুলো কারণ দায়ী, যার মধ্যে কৃত্তিম বাতির প্রভাব অন্যতম।
কৃত্তিম বাতি কীভাবে পাখিকে প্রভাবিত
করে?
- দিকভ্রান্তি: পাখিরা রাতের
বেলায় চাঁদের আলোর দিক নির্ণয় করে দিক নির্ণয় করে। কৃত্তিম আলো তাদের
দিকভ্রান্ত করে, ফলে তারা বিল্ডিং, টাওয়ার, বা অন্যান্য উজ্জ্বল আলোর দিকে
ধাবিত হয় এবং আঘাতপ্রাপ্ত হয় বা মারা যায়।
- অভিবাসন ব্যাহত: অনেক পাখি রাতের
বেলায় অভিবাসন করে। কৃত্তিম আলো তাদের অভিবাসন পথ ব্যাহত করে, ফলে তারা পথ
হারিয়ে ফেলে এবং ক্লান্তিতে মারা যেতে পারে।
- প্রজনন ব্যাহত: কৃত্তিম আলো
পাখির প্রজনন চক্রকে ব্যাহত করে। দীর্ঘ সময় ধরে আলো থাকার ফলে, পাখিরা ভুল
মনে করে যে দিন দীর্ঘ হয়েছে, ফলে তারা তাদের প্রজনন কার্যক্রম শুরু করে না।
- খাদ্যের অভাব: কৃত্তিম আলো
পোকামাকড়ের সংখ্যা কমিয়ে দেয়, যা পাখির খাদ্যের একটি প্রধান উৎস।
কীভাবে আমরা কৃত্তিম বাতির প্রভাব কমাতে
পারি?
- প্রয়োজনেই আলো ব্যবহার: বাইরের আলো কেবল
প্রয়োজনেই ব্যবহার করুন।
- শীল্ড ব্যবহার: বাইরের আলোকে
শীল্ড দিয়ে ঢেকে রাখুন যাতে আলো সরাসরি উপরে না যায়।
- নীল আলো এড়িয়ে চলুন: নীল আলো পাখির
জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর। কম নীল আলো নির্গত করে এমন বাল্ব ব্যবহার করুন।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: কৃত্তিম বাতির
প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করুন।
পাখি আমাদের পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের
সংখ্যা হ্রাস আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। কৃত্তিম বাতির ব্যবহার
কমিয়ে আমরা পাখিকে রক্ষা করতে পারি এবং আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে
পারি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন