সাজেক ঘুরতে যাওয়ার টিপস
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত একটি মনোরম পর্যটন কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিন্দু, যার উচ্চতা ২,৮৬০ মিটার (৯,৩৮০ ফুট)। সাজেক ভ্যালি তার মেঘের খেলা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আদিবাসী সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।
সাজেক ভ্রমণ করতে চাইলে নিম্নলিখি ত টিপসগুলো মেনে চলুন:
থাকা: সাজেকে বিভিন্ন ধরনের আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন হোটেল, রিসোর্ট, কটেজ ইত্যাদি। আপনার বাজেট এবং পছন্দ অনুযায়ী থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন।
খাওয়া: সাজেকে খাবারের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই আগে থেকেই খাবারের ব্যবস্থা করে নিতে পারেন।
পোশাক: সাজেকে আবহাওয়া সবসময়ই মনোরম থাকে। তবে রাতে তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। তাই হালকা গরম কাপড় সঙ্গে রাখবেন।
ঔষধপত্র: সাজেক ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সঙ্গে রাখবেন।
পরিকল্পনা: সাজেক ভ্রমণের আগে ভালোভাবে পরিকল্পনা করুন। কখন যাবেন, কতদিন থাকবেন, কোথায় থাকবেন, কী কী দেখবেন, ইত্যাদি বিষয়ে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন।
সাজেকে ঘুরে দেখার মতো জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
হেলিপ্যাড(১/২): সাজেকের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ হল হেলিপ্যাড। এখান থেকে সাজেকের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
সাজেক বিজিবি ক্যাম্প: সাজেকের সর্বোচ্চ বিন্দুতে অবস্থিত সাজেক বিজিবি ক্যাম্প। এখান থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
সাজেক রুইলুই পাড়া: সাজেকের সবচেয়ে বড় গ্রাম হল রুইলুই পাড়া। এখানে লুসাই, ত্রিপুরা ও পাংখোয়া আদিবাসীরা বাস করে।
সাজেক কংলক পাড়া: সাজেকের শেষ গ্রাম হল কংলক পাড়া। এখানে লুসাই আদিবাসীরা বাস করে।
ভ্রমণের সঠিক সময়: সাজেক ভ্রমণের জন্য সেরা সময় হল শরৎকাল (আগস্ট-নভেম্বর)। এই সময়টায় আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং প্রচুর মেঘ দেখা যায়। তবে বর্ষাকালে (জুন-আগস্ট) সাজেক ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকাই ভালো। কারণ এই সময়টায় রাস্তায় ধস এবং পাহাড়ি ধ্বসের সম্ভাবনা থাকে।
আশা করি এই টিপসগুলো আপনাকে সাজেক ভ্রমণে সাহায্য করবে।
অন্য কিছু জানার থাকলে কমেন্ট/মন্তব্য করুন...
ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন