শরীরের ওজন কমাতে করনীয়
মানবদেহের ওজন তার উচ্চতা, বয়স, লিঙ্গ, পেশা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে বেশি হলে তাকে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা বলা হয়। স্থূলতা একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যা বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
শরীরের ওজন কমাতে হলে খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্যালোরি গ্রহণ ও খরচের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ওজন কমাতে করণীয়
- পরিমিত খাবার খাওয়া: প্রতিদিনের খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ফল, শাকসবজি, ডাল, ওটমিল, ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- খাবারে তেল-মসলা কম ব্যবহার করা: খাবারে তেল-মসলা কম ব্যবহার করলে ক্যালোরির পরিমাণ কমে আসবে।
- খাবারের মাঝে ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমাতে করণীয়
- নিয়মিত ব্যায়াম করা: প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট ব্যায়াম করা উচিত।
- উচ্চ-তীব্রতা সম্পন্ন ব্যায়াম করা: উচ্চ-তীব্রতা সম্পন্ন ব্যায়াম যেমন দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, ইত্যাদি করলে শরীরের বেশি ক্যালোরি পোড়া হয়।
- মাঝে মাঝে লো-তীব্রতা সম্পন্ন ব্যায়াম করা: লো-তীব্রতা সম্পন্ন ব্যায়াম যেমন হাঁটা, যোগব্যায়াম, ইত্যাদি করলে শরীরের পেশি শক্তিশালী হয়।
ওজন কমাতে অন্যান্য করণীয়
- পর্যাপ্ত ঘুমানো: পর্যাপ্ত ঘুমালে শরীরের বিপাকক্রিয়া ভালোভাবে কাজ করে।
- মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ বাড়লে শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: পানি শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সতর্কতা
- দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকা: দ্রুত ওজন কমালে শরীরের স্বাস্থ্যহানি হতে পারে।
- নির্দিষ্ট কোনো ডায়েট বা ওষুধের উপর নির্ভর না করা: কোনো ডায়েট বা ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উপসংহার
শরীরের ওজন কমাতে হলে খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্যালোরি গ্রহণ ও খরচের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো ও পানি পান করাও গুরুত্বপূর্ণ।
Thanks for this advise
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
উত্তরমুছুন